আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে নোহার মা তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে গতকাল সোমবার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আমলী আদালতে নুসরাতের সৎ মা ঝুমুর বেগম ও বাবা মোঃ সুমন মিয়াসহ ৪জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আমলী আদালতের পেশকার মোঃ ইলিয়াস হোসেন জানান, গতকাল সোমবার আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের তানিয়া আক্তার (৩০) বাদি হয়ে একই গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া (৩৫) ও তার ৪র্থ স্ত্রী ঝুমুর বেগম (২৬)সহ ৪জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি মৃত ছাত্রীর মা তানিয়া আক্তার অভিযোগের এজাহারে বলেন, আমার সাবেক শ্বশুর আব্দুর রহিম তার সকল সম্পত্তি নুসরাত জাহানের নামে লিখে দিবে শুনে সম্পত্তি হারানোর ভয়ে আমার মেয়ে নুসরাতকে তার সৎ মা ঝুমুর বেগম ও বাবা সুমন মিয়া পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নিজেরাই লাশ নিয়ে আত্মহত্যার প্রচারনা চালায়। আদালতে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুমন মিয়া তানিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই। তিনি হত্যার জন্য শিক্ষক সফিকুলকে দায়ী করে বলেন, আসামির প্রভাবশালী লোকজন ও স্বজনরা আমার কাছে মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় মহল বিশেষ বিষয়টি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে খাজুরিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর মাসিক পরীক্ষায় ফলাফল ভাল না করায় ওই স্কুলের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইক শিক্ষার্থী নোহাকে ক্লাশ রুমে বেত্রাঘাত করে গালমন্দ করেন। নুশরাত জাহান নোহা এতে অভিমান করে আত্মহত্যা করেন।
Leave a Reply